২০২১-২২ অর্থবছরের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশের মধ্যে রাজশাহী বিভাগ প্রথম হয়েছে। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে নওগাঁ জেলা। এছাড়াও সারা দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে নওগাঁ জেলা। এক্ষেত্রে দেশের দশটি শীর্ষ জেলার মধ্যে রাজশাহী বিভাগের সাত জেলার সাফল্য বেশি।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) ড. চিত্রলেখা নাজনীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে নওগাঁ জেলা বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান দখল করেছে। জাতীয় পর্যায়ে নওগাঁ জেলা হয়েছে দ্বিতীয়। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগের অধীন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় ও সারা দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান দখল করেছে। পাবনা জেলা বিভাগীয় পর্যায়ে হয়েছে তৃতীয়। সেই সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
বিভাগের আরেক জেলা নাটোর বিভাগীয় পর্যায়ে চতুর্থ এবং জাতীয় পর্যায়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা এক্ষেত্রে বিভাগীয় পর্যায়ে পঞ্চম স্থান এবং জাতীয় পর্যায়ে হয়েছে সপ্তম। রাজশাহী জেলা-বিভাগীয় পর্যায়ে ষষ্ঠ এবং জাতীয় পর্যায়ে অষ্টম স্থান দখল করেছে। জয়পুরহাট জেলা বিভাগীয় পর্যায়ে সপ্তম হওয়া ছাড়াও রয়েছে এবং জাতীয় পর্যায়ে নবম অবস্থানে রয়েছে। বগুড়া জেলা বিভাগীয় পর্যায়ে অষ্টম এবং জাতীয় পর্যায়ে ২৩তম অবস্থান পেয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক ড. চিত্রলেখা নাজনীন জানান, সরকারের এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন অনুযায়ী জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে সব শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি যে কোনো নাগরিকের মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করারও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সরকারের এ উদ্যোগকে সফল করতে ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শতভাগ নিশ্চিত করতে বিভাগীয় পর্যায়ে গঠন করা হয়েছে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্সের সমন্বিত কমিটি। এরই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিভাগের ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম হয়েছে নওগাঁ জেলা। এছাড়াও সারা দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে নওগাঁ জেলা দ্বিতীয় হয়েছে।
তিনি জানান, বিভাগীয় কমিশনারের দিকনির্দেশনায় দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে রাজশাহী বিভাগের ৭টি জেলা দেশের সেরা ১০টি জেলার মধ্যে রয়েছে। এক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকার শাখার সব কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত চেষ্টায় এ সফলতা এসেছে। আগামীতেও রাজশাহী বিভাগ অগ্রগামী ভূমিকায় থাকবে বলেও আশা করেন তিনি।