শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
Logo রাজশাহীতে আবারও ভবন ধ্বসের বীজ বপন Logo সিন্ডিকেটের বেড়া জালে পবা সাব রেজিস্ট্রি অফিস Logo রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসায়ী”র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ব্যবসায়ীক ও যুবলীগ নেতা Logo বিডিক্লিন রাজশাহীর উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ Logo সাংবাদিক মীর তোফায়েলের উপর হামলা, রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের নিন্দা Logo ১৩তম ডেপুটি জেলার এবং ৬১তম কারারক্ষি বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo কেশরহাটে অনুমোদনহীন সমিতির উচ্চ সুদে সর্বশান্ত অনেক পরিবার Logo রাজশাহীর লক্ষীপুরে ওয়ানওয়ে খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন Logo তিন দিনের বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান

গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

আর.বি.এস পাভেল / ৬৫ বার পড়া হয়েছে
আপডেট : বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪, ৮:১৮ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি: গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে জমি দখল, অবৈধ পুকুর ভরাট, পাওনা টাকা আদায়ের নামে অর্থ আত্মসাৎ, মাদক কারবারিদের রাজনৈতিক সহযোগিতা প্রদান, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে মাদক ব্যবসা পরিচালনাসহ উপজেলা পরিষদের নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। অগাধ সম্পত্তির মালিক বনে গেলেও অপরাধ যেনো থামছেই না তাঁর। অবৈধ পুকুর ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি করছেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপজেলার মাধবপুর এলাকার এক মেম্বার বলেন, আমার পরিচিত একজনের নিকট ১৬ লাখ টাকা পেতাম। সেই বিচার করেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।। তাঁর কাছে বিচার গেলে মুচলেকার নামে তিনি আমার নিকট থেকে ২ লাখ টাকা নেন। পরে বিচারও হয়নি আমার টাকাও ফেরত দেয়নি। আমার ১৬ লক্ষ টাকাও ফেরত পাইনি, আবার দুই লক্ষ টাকাও হারিয়েছি। এভাবেই কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন জনৈক মেম্বার।
গোদাগাড়ী স্থানীয় এক ভুক্তভোগী বলেন, গোদাগাড়ী এলাকায় মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছে মাসোয়ারা নেন তিনি। মাসোহারা না দিলে পুলিশ দিয়ে হয়রানিসহ ভয়ভীতি দেখান তিনি। চেয়ারম্যানের বাসায় ভাড়া থাকেন গোদাগাড়ী সার্কেল এএসপি৷ এটার ভয়ও তিনি বিভিন্নজনকে দেখায়।
চেয়ারম্যানের রাইট হ্যান্ড খ্যাত গোলাম কাওসার মাসুম সম্প্রতি তেতুলতলা এলাকায় তাঁর নামে পুকুর ভরাট পূর্বক প্লট তৈরি করে বিক্রি করছেন। এছাড়াও উপজেলার ভেজাল জমি ক্রয় ও বিক্রয় করেন উক্ত চক্র।
বিশ্বাস্ত সুত্র নিশ্চিত করে বলেন উপজেলা পরিষদের নানা অনিয়মের মাধ্যমেও তিনি অগাধ সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন। প্রকল্পের আওতায় হওয়া কাজগুলোতে নয় ছয় করে হাতিয়ে নিয়েছেন অর্থ। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে জনগণের সেবক না হয়ে ভক্ষক হয়েছেন তিনি এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে কথা বললে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এসব বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কাওসারের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে নাই। আমি মাদকের বিরুদ্ধে থাকায় মাদক কারবারিদের আশ্রয়দাতা কিছু প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। পরিষদে দূর্নীতির কোনো সুযোগ নাই। ইউএনও আর চেয়ারম্যানের যৌথ স্বাক্ষরে সব কাজ হয়। আমি পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
Design & Developed by : Ecare Solutions