থ্রিলার? তা বলাই যায়। জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ৫ রান। হাতে ৩ উইকেট। এখান থেকে ম্যাচটা জেতা তেমন কঠিন কিছু না। কিন্তু লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস এই ম্যাচটাই জিতেছে কঠিন করে।
প্রথম ৫ বলের মধ্যে উঠেছে ৪ রান, পড়েছে ২ উইকেট! ভাগ্যিস, হর্ষল প্যাটেলের করা শেষ বলে বাই থেকে ১ রান নিতে পেরেছিলেন আবেশ খান। আর তাতেই শেষ বলে ১ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে লক্ষ্ণৌ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দুঃখ জাগতে পারে এই ভেবে, ২ উইকেটে ২১২ রান তুলে যদি জেতা না যায় তাহলে কত তুলতে হবে!
আইপিএল এমনই এক টুর্নামেন্ট যেখানে ঠিক কত রান নিরাপদ তা বলা খুব কঠিন। আজ যেমন বড় রান তাড়ায় লক্ষ্ণৌর হয়ে কাজটা শুরু করেছিলেন মার্কাস স্টয়নিস। ২৩ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর ক্রিজে এসে ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৩০ বলে ৬৫ রান করেন এই অস্ট্রেলিয়ান।
স্টয়নিসের ভিতে দাঁড়িয়েই ঝড় তোলেন নিকোলাস পুরান। ৭ ছক্কা ও ৪ চারে ১৯ বলে খেলেছেন ৬২ রানের দানবীয় ইনিংস। এটি আইপিএলের এবারের মৌসুমে দ্রুততম ফিফটি। ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসেবে নামা আয়ুশ বাদোনির ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংস। বেঙ্গালুরুর হয়ে ৩টি করে উইকেট মোহাম্মদ সিরাজ ও ওয়েন পারনেলের।